ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

কোরবানি সম্পর্কে কী বলে কোরআন?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
মরুতে উট। ছবি- সংগৃহীত

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার ভিত্তি কোরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। নিচে কোরআনের আলোকে কোরবানির মূল নির্দেশনা ও ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো। সূরা কাওসার, আয়াত ২-
 

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

 অতএব, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ (সূরা কাওসার: আয়াত ২)

এই আয়াতে আল্লাহতায়ালা তাঁর রাসুলকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তিনি শুধু আল্লাহর জন্য নামাজ পড়েন এবং কোরবানি করেন। এখান থেকে বোঝা যায়, কোরবানি ইবাদতের একটি অংশ এবং তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। সুরা হজ, আয়াত ৩৬

وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّن شَعَائِرِ اللَّهِ

‘আর কোরবানির উট ও গরুগুলোকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনরূপে করেছি…’ (সুরা হজ, আয়াত ৩৬)

এই আয়াতে বলা হয়েছে, কোরবানির পশুগুলো আল্লাহর নিদর্শন। এগুলো দ্বারা তাকওয়া, ত্যাগ ও আনুগত্যের পরিচয় দেওয়া হয়। সুরা হজ, আয়াত ৩৭

لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَـٰكِن يَنَالُهُ التَّقْوَىٰ مِنكُمْ ‘আল্লাহর কাছে তাদের গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে।’ (সুরা হজ, আয়াত ৩৭)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, কোরবানির মূল উদ্দেশ্য পশু জবাই নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাকওয়া ও নিয়ত সহকারে তা আদায় করা। সূরা আস-সাফফাত, আয়াত ১০৭

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ ‘আমি ইব্রাহিমের পুত্রকে এক মহান কোরবানির বিনিময়ে মুক্ত করলাম।’ (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত ১০৭)

এই আয়াতে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা কোরবানির পেছনে অন্যতম ইতিহাস ও শিক্ষা।

কোরআনে কোরবানি স্পষ্টভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে। এটি শুধু রক্ত ও গোশতের বিষয় নয়, বরং মুমিনের তাকওয়া, ইখলাস (নিয়ত) এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ।