ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

১ দিনের রোজায় মাফ ২ বছরের গুনাহ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৮:৩৫ এএম
ছবি- সংগৃহীত

চলতি বছরের ৬ জুন (শুক্রবার) বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ‘ইয়াওমুল আরাফা’ বা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। আরাফার দিনের রোজা রাখলে আল্লাহতায়ালা বান্দার আগের ও পরের বছরের ছোটখাটো গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন-(সহিহ মুসলিম)।

বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদের হিসাব অনুযায়ী, ১০ জিলহজ তথা ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন শনিবার। সে হিসেবে ৬ জুন শুক্রবার পড়ছে ৯ জিলহজ, যা ইসলামে ‘ইয়াওমুল আরাফা’ নামে পরিচিত।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এমন কোনো দিন নেই, যেদিন আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদেরকে আরাফার দিনের চেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তিনি সেদিন বান্দাদের নিকটবর্তী হন এবং তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৩৪৮)

আরাফার দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো নফল রোজা রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, আমি আশাবাদী, আরাফার দিনের রোজার মাধ্যমে আল্লাহ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

অর্থাৎ, মাত্র এক দিনের রোজা রাখলেই আল্লাহ পাক বান্দার আগের বছর এবং পরের বছরের ছোটখাটো গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন। এটি এক অসাধারণ সুযোগ। গুনাহে ডুবে থাকা আমাদের মতো মানুষদের জন্য এটি হতে পারে গুনাহ মুক্ত হওয়ার স্বর্ণালী পথ।

বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদের হিসাব অনুযায়ী, ৭ জুন শনিবার ঈদুল আজহা (১০ জিলহজ)। সেক্ষেত্রে ৬ জুন শুক্রবার হচ্ছে ৯ জিলহজ তথা ইয়াওমুল আরাফা। এই দিনেই রোজা রাখা উত্তম। অর্থাৎ যারা রোজা রাখতে চান, তারা ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সাহরি খেয়ে ৬ জুন শুক্রবার রোজা রাখবেন।

অনেকে সৌদির তারিখ অনুযায়ী একদিন আগে রোজা রাখতে চান, কিন্তু ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি সঠিক নয়। কারণ, ‘ইয়াওমুল আরাফা’ কোনো স্থানভিত্তিক নাম নয়, বরং এটি একটি নির্দিষ্ট দিন- জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। এটি প্রতিটি দেশের নিজস্ব চাঁদের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তাই সৌদির অনুসরণ না করে বাংলাদেশে ৯ জিলহজ যেদিন পড়বে, সেদিনই রোজা রাখা শরিয়তসম্মত।

ইয়াওমুল আরাফা- একটি দিন, একটি রোজা, কিন্তু ফজিলত অপরিসীম। একদিনের রোজাতেই মাফ হয়ে যেতে পারে দুই বছরের গুনাহ। এটি আমাদের জন্য এক বিশাল সুযোগ, যা হয়তো প্রতিদিন আসে না। তাই এই দিনকে স্মরণ রাখুন, প্রস্তুতি নিন, রোজা রাখুন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। কারণ তিনি মাফ করার মালিক, আর এই দিন তিনি অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।