আসন্ন ঈদুল আজহার আগে কোরবানির মাংস বণ্টন নিয়ে সমাজে প্রচলিত একটি ধারণাকে স্পষ্ট করলেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা আবশ্যক নয়, বরং এটি একটি মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) আমল।
এই স্পষ্টীকরণ কোরবানির বিধান সম্পর্কে মুসলিম সমাজে বিদ্যমান কিছু ভুল ধারণা দূর করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, কোরবানির মাংস সাধারণত নিজের জন্য, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের জন্য এবং গরিবদের জন্য—এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
তবে শায়খ আহমাদুল্লাহ তার বক্তব্যে পরিষ্কার করেন যে, এই বিভাজন ইসলামে বাধ্যতামূলক কোনো নির্দেশ নয়। তিনি বলেন, ‘কোরবানির মাংস তিন ভাগ করা আবশ্যক নয়, এটি মুস্তাহাব।’
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরবানির মাংস থেকে নিজেদের খাওয়া এবং অভাবগ্রস্তদের খাওয়ানোর কথা উল্লেখ করলেও, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো ভাগের নির্দেশ দেননি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনে তিন শ্রেণির কথা বললেও এটি কোনো ফরজ বা ওয়াজিব নির্দেশ নয়।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যদি কেউ নিজের জন্য একটু বেশি রাখেন, গরিবদের একটু কম দেন, অথবা উল্টোটা করেন, এমনকি যদি সব মাংস গরিবদের বা প্রতিবেশীদের দিয়ে দেন, তাতেও কোরবানি সহিহ হয়ে যাবে।
এতে সামান্য হেরফের হলেও কোরবানির শুদ্ধতার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, কোরবানির মাংস বণ্টন নিয়ে সমাজে যতটা ‘সিরিয়াসলি’ ভাবা হয়, বাস্তবে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ততটা কঠোর নয়।
মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা এবং সেই মাংস থেকে নিজেও খাওয়া এবং অভাবগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা।