ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

কর্পূরের উপকারিতা  

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
কর্পূর। ছবি- সংগৃহীত

ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার জন্যে নানা বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন অনেকেই। আবার ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপাদানের উপরেও ভরসা রাখতে পছন্দ করেন বেশ কেউ কেউ। তবে, প্রত্যেক প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্যে উপকারী না হতেও পারে। 

আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলি আমাদের ত্বকে ঠিক ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। এর মধ্য়ে অন্যতম কর্পূরের এসেনশিয়াল অয়েল। বিউটি ওয়ার্ল্ডে বেশ জনপ্রিয় এই তেল। ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে এই তেল। 

Camphor Oil For Skin: ত্বকের হাজার সমস্যা চুটকিতে সমাধান করে কর্পূরের তেল,  কিন্তু ব্যবহারের ১টি ভুলেই হতে পারে বড় ক্ষতিও! - camphor essential oil for  skin uses and ...
কর্পূরের এসেনশিয়াল অয়েল

ব্যবহারের নিয়ম এবং উপকারিতা 

কফ সারাতে

কফ ও ঠান্ডা সারাতে বাজারে যেসব রাব বা জেল পাওয়া যায়, সেগুলোতে কর্পূর থাকে। কফ হলে ঘুমানোর আগে বুকে সেই জেল মালিশ করতে হয়। জেল না থাকলে এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল মিশিয়ে তা বুকে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

 

নাক বন্ধ হওয়া দূর করে 

সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলে কর্পূরের তীব্র গন্ধ এ সমস্যা দূর করে। এ ক্ষেত্রে গরম সরিষার তেলের সঙ্গে কর্পূর বা কর্পূরের তেল মিশিয়ে সেই তেল আস্তে আস্তে নাকের চারপাশে ও বুকে মালিশ করতে হবে।

শরীরের ব্যথা কমাতে

মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে ব্যথা দূর করে কর্পূর। তাই শরীরের ব্যথাযুক্ত স্থানে কর্পূরের তেল মালিশ করলে উপকার পাবেন। 

মাথার উকুন দূর করতে 

নারিকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কর্পূর তেল মিশিয়ে চুলে মাখুন। কয়েক ঘণ্টা পর চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেললে উকুন মরে যাবে।

হজম ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে

প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন কর্পূর অল্প পরিমাণে খেলে হজম ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্রণ দূর করতে

নারিকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কর্পূরের তেল মিশিয়ে অথবা কর্পূরের গোলা মিশিয়ে তা ব্রণে লাগাতে হবে। এতে ব্রণ দূর হয়।

চুলকানি কমায়

প্রায় সময় সংক্রমণ, কীট-পতঙ্গের কামড়ে, সূর্যরশ্মির তাপে আমাদের ত্বকে চুলকানি দেখা দেয়। এই অবস্থায় কর্পূরযুক্ত লোশন বা ক্রিম সেসব স্থানে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।