ঢাকা শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

শরবত বিতর্কে আদালতের ‘বকা খেলেন’ বাবা রামদেব

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
নিজের কোম্পানির শরবত হাতে নিয়ে ‘রুহ আফজা’ সম্পর্কে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন যোগগুরু বাবা রামদেব। ছবি : সংগৃহীত

নিজের কোম্পানির বানানো শরবতের প্রচারণায় নেমে ‘রুহ আফজা’ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তার ওই বক্তব্যে ভারতে বিতর্ক তৈরি হয়। সেটি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিল্লি হাইকোর্টে তোপের মুখে পড়েন তিনি। ওই মন্তব্যে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার শিকার হোন।

এর আগে বিতর্কিত বক্তব্যে তোপের মুখে পড়েন রামদেব। ‘মুসিবত’ যেন পিছু ছাড়ছে না তার। একের পর এক ধাক্কা খেয়েই চলেছেন। এবার শিকার হলেন উচ্চ আদালতের তিরস্কারের।

 

জানা গেছে, সম্প্রতি পতঞ্জলীর গোলাপের শরবত বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে। সেই অনুষ্ঠানে রামদেব বলেন, ‘একটা কোম্পানি রয়েছে, যারা আপনাদের শরবত দেয়, আর সেই টাকায় মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করে।’

এই প্রসঙ্গে রামদেব আরও বলেছিলেন, ‘যদি আপনারা ওই পানীয় খান, মাদ্রাসা-মসজিদ তৈরি হবে। একইভাবে আপনারা যদি পতঞ্জলীর গোলাপের শরবত খান, তা হলে গুরুকুল তৈরি হবে। পতঞ্জলী বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডের উন্নতি হবে। ‘লাভ-জিহাদের’ মতই ‘শরবত জিহাদ’ করছে ওরা। এই শরবত জিহাদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সকলের কাছে এই বার্তা দেওয়া উচিত।’

রামদেবের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। তার এহেন মন্তব্যের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রূহ আফজার সংস্থা। সেই মামলার শুনানিতে এদিন তাকে তিরস্কার করেছে হাইকোর্ট।

 

হামদর্দের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, ‘বাবা রামদেব একনাগাড়ে হামদর্দের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ধর্মকেও অপমান করছে। অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা এটা। সরাসরি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তিনি।’

‘রামদেবের পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেডের বিরুদ্ধে হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি অমিত বনসাল। রামদেবের মন্তব্যকে তোপ দেগে কোর্ট বলে, রামদেবের এহেন মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এই ধরনের মন্তব্য শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। স্পষ্টতই ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা। উচ্চ আদালতের মতে, রামদেবের এমন মন্তব্যের পক্ষে কোনও যুক্তিই দাঁড় করানো যায় না ‘

উচ্চ আদালতে ‘মুখ পোড়া’র পর রামদেবের আইনজীবী জানান, ‘বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই মামলায় আদালত এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি।’