ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

বাস থামিয়ে নামাজ আদায় করায় তদন্তের মুখে চালক

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
কর্ণাটকে বাস থামিয়ে নামাজ আদায় করেন এক বাসচালক। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ​কর্ণাটকে বাস থামিয়ে নামাজ আদায় করায় এক বাসচালকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ডিউটির সময় রাস্তার পাশে বাস দাঁড় করিয়ে নামাজ আদায় করেছিলেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ​কর্ণাটকের হাবেরি জেলায়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ​কর্ণাটকের হাবেরি জেলার একটি সরকারি বাসের চালক ডিউটির সময় বাস থামিয়ে নামাজ আদায়ের ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

নামাজ আদায়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাব্বালি-হাবেরি মহাসড়কে জাভেরি এলাকার কাছে বাস দাঁড় করিয়ে নামাজ আদায় করেন সেই বাসচালক।

হাঙ্গাল থেকে বিশালগড়গামী কর্ণাটক স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (কেএসআরটিসি) একটি বাসের চালক ও কন্ডাক্টর এ কে মোল্লা বাসটি রাস্তার পাশে থামিয়ে যাত্রীদের সামনে বসে নামাজ আদায় করেন।

সে সময় বাসে যাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। কেউ কেউ মোবাইলে তার নামাজ আদায়ের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীকালে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ​

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর কর্ণাটকের পরিবহন মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি নর্থ ওয়েস্ট কর্ণাটক রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (এনডব্লিউকেআরটিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি লিখে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই নির্ধারিত নিয়ম ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যদিও প্রত্যেকের ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে, তবে তা অফিস সময়ের মধ্যে সরকারি দায়িত্ব পালনের ব্যাঘাত ঘটিয়ে করা উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাস থামিয়ে ব্যক্তিগত কারণে নামাজ আদায় করা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার মানের সঙ্গে আপস করা গ্রহণযোগ্য নয়।’

এনডব্লিউকেআরটিসির হাবেরি ডিভিশনের ট্রাফিক অফিসার আশোক পাটিল জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কন্ডাক্টর হাদিমানির বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ঘটনার বিস্তারিত জানা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন ২-৩ দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। দোষী প্রমাণিত হলে চালকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’