ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

জেরুজালেমে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
ইরানে ইসরায়েলের হামলা। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলের জেরুজালেমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে , নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করার জন্য পুরো ইসরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। আইডিএফ সকলকে হোম ফ্রন্ট কমান্ডের দেওয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে।

জেরুজালেম থেকে বিবিসি সংবাদদাতা টম বেনেটো জানিয়েছেন, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। তেল আবিবের সহকর্মীরাও একই ধরনের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।’

এদিকে, হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার একটি পথ উন্মুক্ত হতে পারে। ট্রাম্পের সফর সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্তকে তিনি আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদকে অবিলম্বে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘তেহরানের সব বাসিন্দার উচিত এখনই শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়া।’ ট্রাম্পের এই পোস্টকে সরলভাবে দেখতে চাইছেন না অনেকেই।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, তেহরানবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের এই আহ্বান পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক তীব্রতারই প্রতিফলন।

তার মতে, বিষয়টি এখন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখান থেকে পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিভ্রান্তিই কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। আর এখন তিনি হয়তো সেটিই করার চেষ্টা করছেন।

আলজাজিরার সাংবাদিক পেটি কুলহেইন বলেন, তিনি যদি সত্যিই জি৭ সম্মেলনে অন্য নেতাদের মতো করে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালাতে চান, তাহলে তার যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’-এর জরুরি বৈঠক আহ্বান করার প্রয়োজন নেই। অত গুরুতর কিছু না হলে সাধারণত ‘সিচুয়েশন রুম’ সক্রিয় করা হয় না।