ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ইরানের যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫, ১১:০৮ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ইরানের রাজধানী তেহরানসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। এতে ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামিসহ কয়েকজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইরানি সংবাদমাধ্যম। খবর আলজাজিরা ও ইরনা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী তেহরান, ইসফাহান, আরাক, তাবরিজ, কারমানশাহ এবং রাতানজ শহরে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে একযোগে হামলা চালায়। বিশেষ করে রাতানজ শহরের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, তাবরিজের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিগুলোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তেহরানে বিপ্লবী গার্ড সদর দপ্তরও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগুন ও ধোঁয়ার ছবি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, নেশন অব লায়ন্স নামের অভিযানে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, এ হামলা ছিল পূর্বনির্ধারিত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, কারণ ইরান থেকে আসা সম্ভাব্য হুমকির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল ইসরায়েলের।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইরানের পারমাণবিক বোমা কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এবং সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছি। যতক্ষণ না আমাদের মিশন সফল হয়, অভিযান চলবে।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভির দাবি, হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। নিহতদের মধ্যে ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এবং কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করলেও বিস্ফোরণ ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই হামলার সঙ্গে আমেরিকার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

একইসঙ্গে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, মার্কিন স্বার্থ বা সেনাদের ওপর হামলা হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই অভিযানের পর ইসরায়েলজুড়ে জারি করা হয়েছে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরান থেকে সম্ভাব্য পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কায় এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।