চিত্রনায়িকা তানিন সুবহার লাইফ সাপোর্ট এখনো খুলে ফেলা হয়নি, তবে পরিবার জানিয়েছে, যেকোনো সময় সেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। হৃদ্যন্ত্র এখনো সচল থাকলেও তার ব্রেন আর কাজ করছে না।
গতকাল রোববার বিকেলেই চিকিৎসকেরা তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন। এই মুহূর্তে পরিবারের সদস্যরা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করছেন সুবহার স্বামীর সিদ্ধান্তের জন্য, যিনি পেশায় বৈমানিক।
আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে তানিন সুবহার ছোট ভাই ইনজামুল রামিম বলেন, ‘ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের আর কিছুই করার নেই। আল্লাহ না চাইলে এখান থেকে আর ফেরানো যাবে না। আপুর ব্রেন গতকাল থেকেই কাজ করছে না, মেশিনে হার্ট চলছে। ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার কথা বলেছেন, কিন্তু এখনো আম্মু অনুমতি দেননি। দুলাভাইয়ের সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’
গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন সুবহা। প্রথমে আফতাবনগরের বাসার কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরার পর সন্ধ্যায় আবার অসুস্থ বোধ করেন।
এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে, যেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে। বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি।
তিনি রোববার রাত ১১টার দিকে জানান, ‘সুবহা এখনো বেঁচে আছেন। ব্রেইন কাজ করছে না, তবে হার্টবিট চলছে। ডাক্তাররা আমাদের বলেছেন, হার্ট যেহেতু কাজ করছে, সুবহা জীবিত। লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়নি।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য সনি রহমান রোববার রাতে ফেসবুকে লেখেন, ‘লাইফ সাপোর্টে থাকা আমাদের সহকর্মী চিত্রনায়িকা তানিন সুবহার পরিবারের সাথে ডাক্তারদের মিটিং হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ তার হার্টবিট কাজ করছে। দয়া করে কেউ গুজব ছড়াবেন না।’
বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন তানিন সুবহা। ‘মাটির পরী’ সিনেমা দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়, এরপর আরও বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন তিনি।
সর্বশেষ সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় ‘দেনা পাওনা’ ছবিতে কাজ করেন। এখনো কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে পরিবার সবাইকে তানিন সুবহার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানিয়েছে।
