ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

ইসরায়েলে হামলায় শতভাগ সফল ইরান : আইআরজিসি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৫, ১১:১৬ এএম
ইরানের আইআরজিসি প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর। ছবি - সংগৃহীত

ইরানে ইসরায়েলি ‘রাইজিং লায়ন’ অপারেশনের সফলতার পর পাল্টা হামলায় শতভাগ সফল ইরান। এমনটাই দাবি করেছে দেশটির আইআরজিসি।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ইরান উচ্চ সফলতা অর্জন করেছে।

আইআরজিসি জানায়, তারা ইসরায়েলের বেশকিছু সামরিক ঘাঁটি, গুপ্তচর ভিত্তি এবং অস্ত্র কারখানায় সঠিক লক্ষ্যভেদে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। স্যাটেলাইট ছবি ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, অনেক কৌশলগত স্থান সফলভাবে ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েলের দাবি, তারা প্রতিটি আঘাত ঠেকিয়ে দিয়েছে।

 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি নাগরিকদের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতি হয়েছে। হাইফা বন্দরকেও আঘাত করেছে ইরান।

ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রতিবেশি দেশের প্রতিরোধ বাহিনীর মাধ্যমে নতুন হামলার ধারা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ন্যাটো ইসরায়েলের পাশে থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।

এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন পারমাণবিক বৈজ্ঞানি ও পারমাণবিক স্থাপনা কেন্দ্র লক্ষ করে হামলা চালায় ইরান। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলে একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা করে ইরানের ইসলামী বিপ্লব গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

এ হামলার সময় ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ করে তুলবে। তিনি বলেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বাহিনী শয়তান শত্রুকে একটি বড় ধাক্কা দেবে।’

 

আইআরজিসি প্রধান মোহাম্মদ পাকপুর বলেছেন, ইরানের পাল্টা হামলা ইসরায়েলের জন্য ‘নারকীয় দরজা খুলে দেবে’ এবং এটি ‘কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক’ হবে। ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বকর কালিবাফ বলেছেন, যেহেতু যোদ্ধারা সংঘাত শুরু করেছে, তাই ইরানই এর সমাপ্তি নির্ধারণ করবে।

আইআরজিসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল ভবিষ্যতে সিভিলিয়ান স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তবে ইরানের পরবর্তী পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোই মূল লক্ষ্য হবে।

একই দিনে ইসরায়েল ইরানের কেন্দ্রীয় এসফাহান প্রদেশের পারমাণবিক স্থাপনা নাটান্জকেও আঘাত করেছে, যদিও শক্তিশালী ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে কিছু ক্ষতি উপরের দিকে হয়েছে।

ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে অন্তত দুটি ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং একজন নারী পাইলট বন্দি হয়েছে।