ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ইরানের ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করতে চায়: নেতানিয়াহু

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থার ওপর ‘জনসমর্থন নেই’। ইরানের ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করতে চায় বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে এর প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি ।

ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কি ইসরায়েলের চলমান ‘প্রচেষ্টার’ (ইরানে হামলা) অংশ কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি (ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন) অবশ্যই ফল হতে পারে, কারণ ইরানি শাসনব্যবস্থা খুবই দুর্বল।’

তিনি বলেন, ‘পারস্যবাসী এবং ইহুদি জনগণের মধ্যে একটি প্রাচীন বন্ধুত্ব ছিল। এই সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার, জেগে ওঠার সিদ্ধান্ত ইরানি জনগণের।’ 

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার সাম্প্রতিক ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প - সিবিএস নিউজের কাছে এমন দাবি করেছেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা।
 
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ ছিল ইসরায়েলের। তবে ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছিলেন এটি ‘ভালো কোনো ধারণা’ নয়।

এর আগে, পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ‘শত শত বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে ইরান

এক ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও অপরাপর মিলিশিয়ারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ঘনিষ্ঠভাবেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল যে বিমান ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছে, তার বেশির ভাগই এসেছে মার্কিন উৎস থেকে।

মার্কিন বিশ্লেষক রিচার্ড লে’বেরন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র না চাইলেও এই সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে।’ 

অপরদিকে, বিশেষ সূত্র বলছে, নতুন হামলায় পার্শ্ববর্তী দেশের যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।

আইআরজিসি জানায়, তারা ইসরায়েলের বেশকিছু সামরিক ঘাঁটি, গুপ্তচর ভিত্তি এবং অস্ত্র কারখানায় সঠিক লক্ষ্যভেদে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। 

স্যাটেলাইট ছবি ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, অনেক কৌশলগত স্থান সফলভাবে ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েল দাবি করে আঘাত ঠেকানো হয়েছে।