ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্য সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
শনিবার (২১ জুন) ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি)সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় হামলার পাশাপাশি লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং এখন ইরানে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য ‘ইসরায়েল সমস্যার’ মুখোমুখি। মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানকে সমর্থন করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তুরস্কের পার্লামেন্টে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি জার্মানির স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু ‘হলোকাস্টের চেয়ে জেনোসাইডে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন’ এবং এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা তাকে ‘হিটলারের থেকেও এগিয়ে’ নিয়ে গেছে।
এরদোয়ান বলেন, গাজা থেকে আসা ছবি‑ভিডিওতে বিশ্বযুদ্ধের মানবতা-হীনতার চিত্রগুলো হার মানছে। তিনি বলেন, তুরস্ক সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং গাজায় অমানবিক আগ্রাসন বন্ধ করা কতটা জরুরি সে লক্ষ্যে কাজ করছে এবং ইরানের আইনী, বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার স্বীকার করেছেন ।
ইরানে আক্রমণের জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার আইনি অধিকার রয়েছে। তিনি নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে 'ডাকাতি এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ'-এর অভিযোগ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর ‘এক্স’ পোস্টে এরদোয়ানের উদ্দেশে বলেন, ‘সুলতান, তার নিজের চোখে, আরেকটি উস্কানিমূলক বক্তৃতার মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উসকানি অব্যাহত রেখেছেন।’
এরদোয়ান আরও বলেন, তুরস্ক সরাসরি সামরিক কার্যক্রমে জড়াবে না, বরং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করেছেন, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ উপায়ে বিকশিত হতে পারে এবং তুরস্ক সে অনুযায়ী প্রস্তুত।
