ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

আইনি জটিলতায় দুই পশুর হাট

মাইনুল হক ভূঁইয়া
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৩:২৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় এবার ৯টি পশুর হাট বসছে। বরাবর ১১টি হাট বসলেও এবার আফতাবনগর নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে  মতবিরোধ এবং মেরাদিয়া হাট নিয়ে আইনগত জটিলতা থাকায় সেগুলোর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে এ দুটির জায়গায় এবার হাট বসবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
 
৯টি হাটের জন্য আগ্রহী ইজারাদাররা তাদের স্বীয় এলাকার চাহিদার ভিত্তিতে শিডিউল কেনেন। ইতিমধ্যে প্রকাশিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ মে প্রথম দফায় দরপত্র বিক্রির সময়সীমা শেষ হয়। ২ মে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা পড়ে। ওইদিন বিকেলে ওটিএম (ওপেন টেন্ডার মেথড) পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বানের প্রথম পর্যায় উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় দরপত্রে অংশ নেওয়া ইজারাদারদের সামনে এ-সংক্রান্ত কমিটির মাধ্যমে ডিএসসিসির সদ্য বদলীকৃত প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী হাটের দর ঘোষণা করেন। 

ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ জানিয়েছে, দরপত্র জমাদান ও উন্মুক্তকরণে ৯টি হাটের দর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬টি হাটে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে। এখন এ-সংক্রান্ত মূল্যায়ন কমিটি সিদ্ধান্ত দিলে তারা হয়তো পাবেন। আর ৩টি হাটের দর সরকারি মূল্যের চেয়ে কম পড়েছে। 

সম্পত্তি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, হাটগুলোর মধ্যে হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজির খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাটটির জন্য মেসার্স সাফি এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দর প্রদান করে। 

প্রথম পর্যায়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গার হাটে সিকদার কনস্ট্রাকশন  ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পাশের নদীর পাড়ে খালি জায়গার হাটে মুহাম্মদ আলী মিলন ২ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রহমতগঞ্জ ক্লাবের খালি জায়গার হাটে টিপু সুলতান ৭৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশের খাল পাড়ের খালি জায়গার হাটে ফেরদৌস আহমেদ ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পাশের খালি জায়গার হাটে জয়নাল আবেদিন ৫৫ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর দেন।

সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফায় ১৩ ও তৃতীয় দফায় ২২ মে পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ধার্য করা হয়। ওই দুই দিন বিকেলে দরদাতাদের উপস্থিতিতে হাটের ইজারার দর চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ৯ হাটের মধ্যে ৬টির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। ২২ মের শেষ দিনেও ৩ হাটের বিষয়ে কাক্সিক্ষত দর পাওয়া না গেলে ৩টির বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেভাবেই কাজ করব। 

তিনি আরও জানান, কার্যাদেশপ্রাপ্তরা ঈদুল আজহার দিনসহ মোট পাঁচ দিন নির্ধারিত স্থানে পশু বেচাকেনার হাট বসাতে পারবেন।