বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অবজারবেশন টিম। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি সার্কুলেশনের (ঘূর্ণাবর্ত) মাধ্যমে শুরু হলেও পরবর্তী ৩-৪ দিনের মধ্যে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলেও জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, এই সিস্টেমটি ধাপে ধাপে শক্তি সঞ্চয় করে মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে এর গতিপথ ও শক্তি বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের সব জেলায় আঘাত হানতে পারে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষ।
সম্প্রতি কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সতর্ক করে জানান, ২০ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’।
পলাশ আরও জানান, ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
এর আগে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম জানিয়েছিল, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।