ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

দাম থাকায় পাটে লাভের আশা কৃষকের

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৭:৪৭ এএম

পোকামাকড় ও বোগ-বালাই তেমন না থাকায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে পাটের দাম ভালো থাকায় লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ভৈরবে ৩২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ, আগানগর, শিমুলকান্দি, শিবপুর, সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পাট চাষ বেশি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নেই পাটকাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষক রহিছ মিয়া, শাহজাহান মিয়া, জসিম মিয়া, শাহিন মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বাজার দর ভালো থাকলেও পাট কাটা থেকে জাগ দেওয়া খরচ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ জমির কাছাকাছি পানি না থাকায় নদী বা খাল-বিলে জাগ দিতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে আশানুরূপ লাভবান হতে পারছেন না কৃষকরা। পাটের বর্তমান প্রতি মণ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কৃষকদের দাবি, সরকার যদি পাটের দাম বৃদ্ধি এবং বিনা মূল্যের উন্নত জাতের সার ও বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে, তাহলে আগামী বছর পাট আবাদে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবে। এতে সোনালি আঁশ ফিরে পাবে সোনালি অতীত।

পাটের আবাদে কৃষকদের উৎসাহ দিতে স্থানীয় কৃষি অফিস বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানান ভৈরবের উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন। বলেন, গত বছর লোকসান গুনতে হওয়ায় কৃষকদের অনেকেই এ বছর পাট চাষ করতে চাননি। তবে আমরা পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাটের বীজ বিতরণ করেছি। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছি, যথাসম্ভব সহযোগিতা করেছি। পোকামাকড় ও বোগ-বালাই তেমন না থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো থাকায় আশা করছি, গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে এবার কৃষকরা লাভবান হবেন।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, চলতি মৌসুমে ভৈরবে ৩২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বাজারেও দর ভালো। ফলে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং আরও বেশি পাটের আবাদ করতে আগ্রহী হবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে পাট চাষ বাড়বে বলে জানান তিনি।