যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) ও ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অপারেশন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। গতকাল বুধবার স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা, সাইট পরিদর্শন শেষে প্রস্তাবিত এবং বিদ্যমান স্থাপনাসমূহের সার্বিক মানোন্নয়ন, অপারেশনাল এক্সিলেন্স ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আশা প্রকাশ করেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) এবং ডিজাস্টার রিকভারি ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
পরিদর্শনকালে তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কর্মকর্তাদের পার্কের অব্যবহৃত ফ্যাসিলিটিতে যশোরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে হ্যাকাথন, আইডিয়াথন, স্টার্টআপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামসহ নিয়মিত বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে স্টার্টআপের ইকোসিস্টেম পাইপলাইন তৈরির নির্দেশনা দেন। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন, সাইবার লিটারেসি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বিষয়টি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেন বলে সম্মতি প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহানের সঙ্গে আলাপ করেন।
এরপর তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং চালডাল ডট কমের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে যশোর সার্কিট হাউসে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন।
বিনিয়োগকারীরা ভাড়া কমানোর দাবি তুললে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে কমিটি করা হয়েছে। অতীতে বৈষম্যপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কে কম ভাড়া দেখানো হয়েছে বলে সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরলে হবে না। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও কর্মসংস্থানের পাইপলাইন বিবেচনায় ভাড়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। শর্ত হিসেবে তার আগে বকেয়া ভাড়া এবং বকেয়া ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে বলেন তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন