বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৫:১০ এএম

ফরজ নামাজের পর নবীজি (সা.) যেসব আমল করতেন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৫:১০ এএম

দোয়া করছেন।   ছবি- সংগৃহীত

দোয়া করছেন। ছবি- সংগৃহীত

ফরজ নামাজ ইসলামের প্রধান স্তম্ভগুলোর অন্যতম এবং মুমিন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু আল্লাহর হুকুম আদায়ের মাধ্যমই নয়, বরং একজন মুসলিমের আত্মিক পরিশুদ্ধি, গুনাহ মাফ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের সোনালী সুযোগ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নামাজের ফরজ অংশ আদায়ের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করতেন, যেগুলো সুন্নাহ হিসেবে পরিগণিত এবং হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এসব আমল একজন মুসলিমের ইমানকে সুদৃঢ় করে এবং তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের কল্যাণ নিশ্চিত করে।

নিচে ফরজ নামাজের পর নবীজি (সা.)-এর নিয়মিত আমলসমূহ সাজিয়ে তুলে ধরা হলো-

১. নির্দিষ্ট তসবিহ পাঠ

নবীজি (সা.) ফরজ নামাজের পর নির্দিষ্ট তসবিহ পাঠ করতেন, যা অনেক ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,   ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে এবং শেষে একবার বলবে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির- তাহলে তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার চেয়েও বেশি হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯৭)

২. আয়াতুল কুরসি পাঠ

আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা, আয়াত ২৫৫) হচ্ছে কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন,  ‘যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জন্য মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে প্রবেশে আর কোনো কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’ (সুনানে নাসাঈ, আল-কুবরা, হাদিস: ৯৯২৮)

৩. সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ

বিশেষত ফজর ও মাগরিব নামাজের পর সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পাঠ করতেন নবীজি (সা.)। আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন,  ‘প্রতিটি ফরজ নামাজের পর এই তিনটি সূরা তিনবার করে পাঠ করলে, তা সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৩)।

৪. দোয়া ও মুনাজাত

নবীজি (সা.) ফরজ নামাজের পর দোয়া করতেন—নিজের জন্য, পরিবার ও উম্মাহর জন্য। উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,  ‘প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হয়।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৯৯)

নবীজি (সা.)-এর একটি বিখ্যাত দোয়া হলো- ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।’ অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি শান্তির উৎস, শান্তি তোমারই নিকট থেকে আসে। তুমি মহিমান্বিত, হে মহত্ত্ব ও সম্মানের অধিকারী। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯১)

৫. নামাজের স্থানে বসে জিকির

নবীজি (সা.) নামাজ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে তার স্থানেই কিছু সময় বসে জিকির করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) ফরজ নামাজের পর তার স্থানে বসে আল্লাহর জিকির করতেন এবং ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিতেন।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৪৫)

এছাড়াও বীজি (সা.) ফরজ নামাজের পর নির্দিষ্ট কিছু সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়তেন।

Link copied!