মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

অবশেষে মায়ের কাছে ফিরছেন তারেক রহমান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। এ অবস্থায় মাকে দেখতে কবে দেশে আসবেন তারেক রহমান? মানুষের মধ্যে সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে দুই একদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে এসে তিনি কোথায় উঠবেন সেটাও চূড়ান্ত।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। তবে ঠিক কবে ফিরবেন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা দেখছি না।’

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলও বলেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে কোনো আইনি বাধা আছে বলে আমার জানা নেই, তিনি উপযুক্ত সময়ে দেশে ফিরে আসবেন। তিনি দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন এ উপদেষ্টা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি মাসেই যে কোনো দিন দেশে ফিরতে পারেন তিনি। শুধুমাত্র কৌশলগত কারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ফেরার সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে না।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিয়োগও দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ফটকের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকে সেখানে ভিড় করতে দিচ্ছেন না পুলিশের সদস্যরা।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

অপরদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেনের পর ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। তারপর থেকে সেখানে অবস্থান করছেন তিনি। বিদেশে থেকেই দল পরিচালনা করে আসছেন।

গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল হওয়ার পর তার দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়। ডিসেম্বর মাসে ফিরলে ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান।

Link copied!