ঠাকুরগাঁওয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শীতের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। বিশেষ করে খেঁটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষকে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়।
ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রমেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে, শুরু হয়েছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। বিকেল হওয়ার পর থেকেই কমছে সূর্যের উত্তাপ। সন্ধ্যার পর নামছে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া। এতে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে।
অপরদিকে সকাল অবধি চারদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। প্রচণ্ড কুয়াশায় রাস্তাঘাট ঢাকা থাকায় সব ধরনের মোটরযান হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসায় শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে আসনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি শিশু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এসব শিশু রোগীর চিকিৎসা দিতে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা হিমসিম খাচ্ছেন।
শীতের তীব্রতায় নতুন লেপ-তোষক বানানোর জন্য অনেকে লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষজন ভিড় করছেন শহরের পুরাতন কাপড়ের হকার্স মার্কেটের দোকানে।
এদিকে শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষ দুর্ভোগ পোহালেও সরকারিভাবে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। জানা গেছে, ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকলেও পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বাতাসের তাপমাত্রা ১০.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন