মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৮:০৫ এএম

ফেরত এসেছে ২৩৫ ট্রাক,  উদ্ধার ৮ লাখ ৫ হাজার ঘনফুট পাথর 

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৮:০৫ এএম

ফেরত এসেছে ২৩৫ ট্রাক,  উদ্ধার ৮ লাখ ৫ হাজার ঘনফুট পাথর 

সিলেটের বহুল আলোচিত সাদাপাথর লুটকাণ্ডে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পর অবশেষে দৃশ্যমান হচ্ছে পরিবর্তন। জেলা প্রশাসকের জারি করা আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩৫টি ট্রাক পাথর ফেরত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে প্রশাসনের অভিযান ও উদ্ধার কার্যক্রমে এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

গত ২৩ আগস্ট শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যার কাছে সাদাপাথর রয়েছে, তাকে তা নিজ খরচে ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে পাথর জব্দ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর রাত থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকযোগে পাথর ফেরত পাঠাতে শুরু করেন পাথর ব্যবসায়ীরা। ফেরত দেওয়া পাথর সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকাতে জমা রাখা হচ্ছে।

সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খুশনূর রুবাইয়াত জানান, ‘গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ২৩৫টি ট্রাক পাথর ফেরত এসেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন আরও পাথর ফেরত দেওয়ার জন্য।’

ব্যবসায়ীরা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলমান অভিযানে বিভিন্ন স্থানে মজুত থাকা পাথরও জব্দ করা হচ্ছে। সদর উপজেলার ধোপাগুল, লালবাগ এবং আশপাশের এলাকা থেকে একাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।

সদর ইউএনও জানান, ‘ব্যবসায়ীরা অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাথর ফেরত দিচ্ছেন। তবে ট্রাক সংকট ও পরিবহনের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকে একসঙ্গে সব পাথর ফেরত দিতে পারছেন না। আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি।’

ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার ব্যবসায়ী কাজী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি তিন মাস আগে পাথর কিনেছিলাম। এরপর আর কোনো পাথর নেই। তারপরও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমার মিলে থাকা সব পাথর ফেরত দিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র ও সংলগ্ন রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট সাদাপাথর লুট হয়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ এবং কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে সরকার।

নতুন প্রশাসনের অধীনে শুরু হয় উদ্ধার কার্যক্রম। ২২ আগস্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট পাথর। এরপর দুই দিনে ফেরত দেওয়া এবং জব্দ হওয়া পাথর মিলিয়ে মোট উদ্ধার এখন প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট।

সদর, কোম্পানীগঞ্জ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, গণবিজ্ঞপ্তি এবং চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৫১টি ট্রাকে তল্লাশি চালানো হয়, যার মধ্যে ৭টি ব্যতীত সবকটিতে বৈধ এলসি ছিল। জেলা প্রশাসনের একাধিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে অভিযানের তৎপরতা।

সাদাপাথর লুটকাণ্ডে প্রশাসনের কড়া অবস্থান ও ব্যবসায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফেরত আসতে শুরু করেছে লুট হওয়া সম্পদ। তবে দেড় কোটি ঘনফুট পাথরের বিপরীতে ৮.৫ লাখ ঘনফুট উদ্ধার এখনো অপ্রতুল। সময়সীমা শেষ হলে ফেরত না দেওয়া পাথর উদ্ধারে আরও কঠোর অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!