১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে আগামী ৩০ আগস্ট মহাসমাবেশ পালন করবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সহকারী শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এই কর্মসূচি দিয়েছে। আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে ১১তম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করে আসছি। সরকার থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
জোটের নেতারা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির রিপোর্ট সংশোধন করে সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম ধাপে নির্ধারণ করতে হবে। একই পদে সন্তোষজনক চাকরির শর্ত পূরণ করা শিক্ষকদের ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দিতে হবে। এসব দাবিতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, সর্বশেষ সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সুপারিশসহ জাতীয় পে-কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু পে-কমিশনে পাঠানোকে আমরা সরকারের সময়ক্ষেপণ বলে মনে করি। আমরা চাই দ্রুত ১১তম গ্রেডের বাস্তবায়ন হোক। আর বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ৩০ আগস্টের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ওইদিনই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।
এর আগে তিন দফা দাবিতে গত ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। পরে গত ২৯ মে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে কর্মবিরতির কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) তথ্য অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড দশম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন