পাপের ধরন অনুযায়ী জাহান্নামে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি থাকবে। সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) আজাবের ব্যাপারে বলেন, ‘আগুন জাহান্নামীদের কাউকে উভয় টাখনু পর্যন্ত গ্রাস করবে। কাউকে উভয় কোমর পর্যন্ত গ্রাস করবে। কাউকে কোমর পর্যন্ত গ্রাস করবে। আবার কাউকে ঘাড় পর্যন্ত গ্রাস করবে।’ (মুসলিম হাদিস-২১৫৮৫)
জাহান্নামে পাপীদের মৃত্যু হবে না। তারা অনন্তকাল শাস্তি ভোগ করবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা পাপী জাহান্নামীদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘যারা কুফরি করে তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে। তাদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হবে না এবং শাস্তিও হালকা করা হবে না, এভাবে আমি অকৃতজ্ঞদের শাস্তি দিয়ে থাকি। তারা সেখানে আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদের বের করুন, আমরা ভালো কাজ করব, আগে যা করেছি তা করব না। আল্লাহ বলবেন, আমি কি তোমাদের এত দীর্ঘ জীবন দিইনি? তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারত। অতএব তোমরা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করো, জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা ফাতির, আয়াত: ৩৬-৩৭)
জাহান্নামে বিভিন্ন স্তরের আজাবের সবচেয়ে কম শাস্তি হবে আগুনের ফিতাযুক্ত জুতা পরানো। নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জাহান্নামে যাকে সবচেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হবে তাকে জাহান্নামের দুটি জুতা পরানো হবে, যার দুই ফিতা হবে আগুনের। এর উত্তাপে মাথার মগজ টগবগ করতে থাকবে ডেগের ফুটন্ত পানির মতো। সে মনে করবে তাকে সবচেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মূলত তাকে সবচেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২১৩)
এক হাদিসে এসেছে, মহান আল্লাহ সবচেয়ে অল্প আজাবে লিপ্ত জাহান্নামবাসীকে জিজ্ঞাসা করবেন, যদি দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব তোমার হয় তাহলে কি তুমি এ আজাবের বিনিময় হিসাবে দিতে? সে বলবে, হ্যাঁ, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তোমার কাছে তার থেকেও সামান্য জিনিস চেয়েছিলাম, যখন তুমি আদমের পিঠে ছিলে, তা হলো, আমার সঙ্গে শিরক করো না। কিন্তু তুমি শিরক ছাড়া কিছু করলে না। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৩৪; মুসলিম, হাদিস: ২৮০৫)
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন