ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে এবার এক ধরনের হুমকিই দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিয়েভের সাথে সংঘাতে মস্কোর পরবর্তী পদক্ষেপে ‘অসন্তুষ্ট’ হলে ‘অনির্দিষ্ট পরিণতির’ হুমকি দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আগামীতে পুতিনের সাথে আবারও কথা বলার পরিকল্পনা করছেন, আর রুশ নেতা যুদ্ধের বিষয়ে তার প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কেও অবগত।
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য আমার কোনো বার্তা নেই। তিনি জানেন আমি কোথায় আছি এবং যেকোনো পন্থায় তিনি একটি সিদ্ধান্ত নেবেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের আরও বলেন, তার (পুতিনের) সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, আমরা হয় এতে খুশি হব অথবা অসন্তুষ্ট হব। আর যদি আমরা এতে অসন্তুষ্ট হই, তাহলে যে ঘটনাগুলো ঘটবে তা আপনারা দেখতে পাবেন। প্রতিবেদন মতে, যুদ্ধের অবসানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘চাপের মধ্যে’ পুতিন আগে বলেছিলেন যে তিনি মস্কোতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক। এর পরই মূলত ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। পুতিন তার সাম্প্রতিক চীন সফরের শেষে বলেছেন, ‘ডোনাল্ড (ট্রাম্প) আমাকে এমন একটি বৈঠকের জন্য বলেছিলেন।
আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ এটা সম্ভব। জেলেনস্কি মস্কোতে আসতে পারেন।’ রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি জেলেনস্কির সঙ্গে এমন বৈঠকের সম্ভাবনা কখনো নাকচ করিনি। কিন্তু ওই বৈঠকে বসার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?’ তবে ইউক্রেন কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে, মস্কো সামরিকভাবে ইউক্রেনে তার লক্ষ্য অর্জন করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে বলার পরও কোনো কাজ হয়নি। অথচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নাওর নাভরকির সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়ার সময় একজন পোলিশ সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ওপর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি কেন।
এতে ট্রাম্প কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি কীভাবে জানেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? ভারতের ওপর দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চীনের বাইরে তারা রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এটা কি কোনো পদক্ষেপ নয়? এতে রাশিয়ার শত শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। আপনি একে পদক্ষেপ বলবেন না? আর আমি এখনো দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে যাইনি। আপনি যদি বলেন কোনো পদক্ষেপ হয়নি, তাহলে বলব, আপনাকে একটা নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত।’ ট্রাম্প আরও বলেন, দুই সপ্তাহ আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যদি ভারত কেনে, তাহলে ভারতের বড় সমস্যা হবে আর সেটাই হচ্ছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন