বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

ইমাম মো. মেহেদী হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইমাম মো. মেহেদী হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ৮ বছর বয়সি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মেহেদী হাসান (৩০) নামে এক মসজিদের ইমামকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেহাদী হাসান আক্কেলপুর শান্তনগর সরদার পাড়া মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি আক্কেলপুর পৌর সভার একটি মসজিদের ইমাম ও একই মসজিদের পার্শে তা‘লিমুল কোরআন নূরানী হাফেজিয়া ও ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি গত ১ বছর ১০ মাস যাবৎ মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। এবং মাদ্রাসাটি তিনি নিজেই পরিচালনা করে আসছেন।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশু শিক্ষার্থীটি স্থানীয় একটি মসজিদে সকালে কোরআন (মক্তব) পড়তে যায়। আজ সকাল ৮টায় ওই মসজিদে প্রথম মক্তবের ব্যাচ শেষ হয়। এরপর ভিন্ন করে দ্বিতীয় মক্তবে ভিকটিমসহ আরেক সহপাঠীকে পাঠদান করান।

পাঠদান শেষে ভিকটিমের বান্ধবীকে কৌশলে মক্তব থেকে বের করে দিয়ে ওই শিশুকে কুপ্রস্তাব দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন মো. মেহেদী হাসান। এতে ওই শিশুটি ভয় পায়। পরে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে দশ টাকা দিয়ে তার মাকে বলতে মানা করেন।

ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বললে ওই শিশুর মা মসজিদে এসে অত্র এলাকার লোকজনকে ঘটনা বললে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত ইমাম মো. মেহেদী হাসানকে তারই মাদ্রাসার একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে।

এতে এলাকাবাসী চরম উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে আক্কেলপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ইমাম মো. মেহেদী হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জানান, তার মেয়ে সকালে আরবি পড়তে যায়। পড়া শেষে মেয়েকে হুজুর তার ঘরে নিয়ে জামা খুলে ও হুজুর তার লুঙ্গি খুলে লজ্জাস্থানে হাত দিতে বলেন। এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ১০ টাকা দিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয় এক যুবক বলেন, মক্তব শেষে ভিকটিম ও আরেক শিশুকে দ্বিতীয় ব্যাচে ভিন্ন করে পড়াতেন। ভিকটিমকে রেখে তার সহপাঠী শিশু শিক্ষার্থীকে ছুটি দেয়। ভিকটিমকে ইমাম মেহাদী হাসান তার রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ওই শিশুটি ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পরে ওই শিশুকে টাকা দিয়ে হুজুর এসব বলতে নিষেধ করেন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি বলে। এরপর ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ইমামকে আটক করে রাখা হয়। এ ধরনের অমানুষের কঠোর শাস্তি চাই।’

উক্ত মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘ইমাম মেহেদী হাসান শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে শুনেছি।’

অভিযুক্ত ইমাম মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে ওই শিশু শিক্ষার্থী পড়তে আসে। আমি পাঠদান দিয়ে ছেড়ে দেই। পরে ওই শিশুর মা ও বাবা এসে জুতা তুলে মারমুখি হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নাকি তাদের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করি। আমাকে সকাল ৯টায় থেকে ১১টা পর্যন্ত আটক করে রেখেছেন।’

আক্কেলপুর থানার ওসি মো. শফিকুর ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল ৮ ঘটিকার সময় স্থানীয় লোকজন আক্কেলপুর পৌর সভার একটি মসজিদের ইমামকে আট বছরের একজন শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক করে রাখে।’

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আইনানুক ব্যবস্থা চলমান বলে জানান ওসি শফিকুল ইসলাম।

Link copied!