সরকার ১৬ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল ফোন নিবন্ধন প্রক্রিয়া (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করবে।
নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা অনুমোদনবিহীন আমদানি করা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হবে। এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও টেলিকম খাতের স্বচ্ছতা বাড়াবে বলে মনে করছে সরকার।
এদিকে, নতুন ব্যবস্থার আগাম ঘোষণা পাওয়ার পর অনিবন্ধিত মোবাইল ডিভাইসের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সাধারণ মানুষ বিশেষত ছাত্র ও যুবকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি শুল্ক ও ভ্যাটের কারণে অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের দাম অনেক বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০ হাজার টাকার একটি ফোনে ৫৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে দাম ৫০ হাজার টাকারও বেশি হয়ে যাচ্ছে, যা ক্রেতাদের পছন্দের ফোন কেনার সুযোগ সীমিত করছে।
ব্যবসায়ীরা অনিবন্ধিত ফোন আমদানি ক্ষেত্রে ৫৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।
মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সভাপতি মো. আসলাম বলেন, ‘সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে ব্যবসায়ীরা রাজপথে নামার পথে বাধ্য হবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, দেশে ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল প্রতারণায় অবৈধ স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অবস্থায় এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বিশেষ কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থের কারণে এই উদ্যোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে অবৈধ ডিভাইসকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সুলভ দামে মোবাইল সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, এনইআইআর চালুর আগের দিন পর্যন্ত নেটওয়ার্কে থাকা সব মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন