*** কমিউনিটি ক্লিনিক
*** খালি হাতে ফিরছে রোগীরা
*** ভোগান্তিতে পড়েছে অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় এক বছর ধরে চলছে ওষুধ সংকট। প্রতিদিন জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, রক্তচাপসহ নানা সমস্যায় রোগীরা চিকিৎসা নিতে এলেও প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। গতকাল শনিবার চরবংশী এলাকার সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) আবদুর রহমান ও মহসীন জানান, গত এক বছর ধরে এসব ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সাধারণত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, মা ও শিশুর সেবা, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি, সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগ শনাক্তকরণসহ নানা সেবা দিয়ে থাকে। এখানে ২৭ ধরনের ওষুধ ও শিশুদের জন্য অণুপুষ্টি কণার প্যাকেট সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ওষুধ আসেনি। প্রথম দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকের মজুত ওষুধ ব্যবহার করা হলেও সেগুলো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
ওষুধের অভাবে রোগীদের কষ্টের কথা তুলে ধরে হায়দরগঞ্জ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা আশা বেগম বলেন, ‘আর হুতের বউর খুব জ্বর আর কাশি আছিল। তাই তারে ডাক্তার দ্যাহাইতে আইছিলাম। ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দিছে, কিন্তু ওষুধ দেয় নাই। বাজার থাইকা কিনতে কইছে। গরিব মানুষ, কিনতে গেলে কষ্ট হইব।’
খাসের হাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নাহিমা তাহসীন ইভা বলেন, ‘প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন। কিন্তু ওষুধ না থাকায় খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে হয়। এতে রোগীরা হতাশ হয়ে আমাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবু হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ওষুধ সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করি ১৫ দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন