আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। ইতিমধ্যে দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজাম-পে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার লক্ষ্মীতলা, টাউন বারোয়ারী ও কালীবাড়ি কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমাশিল্পী গোপাল চন্দ্র মালাকার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এখানকার বিভিন্ন ম-পে প্রতিমা তৈরি করছেন। এ বছরও বেশ কয়েকটি ম-পে প্রতিমা গড়ার দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে তালোড়া পৌর এলাকার বিনোদ পোদ্দার পবন বাবুর পূজাম-পে প্রতিমা নির্মাণ করেছেন চুয়াডাঙ্গার কারিগর অমল চন্দ্র পাল।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অসীম কুমার দাস বলেন, গত বছর উপজেলায় ৪০টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার নতুন করে আরও পাঁচটি ম-প যোগ হওয়ায় পূজার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫টিতে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিটি পূজাম-পে স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি ম-পগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনা টহলও থাকবে।
হিন্দু ধর্মমতে, দুর্গাপূজা মূলত শুভ শক্তির জয় ও অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক। দেবী দুর্গা নারীশক্তি, জয় ও ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবেও পূজিত হন। তাই বাঙালি হিন্দুদের কাছে দুর্গোৎসব শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি একযোগে আনন্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের উৎসব।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন