থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার কম্বোডীয় বিক্ষোভকারীদের ওপর থাই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়লে অন্তত ২৩ জন আহত হন। এ ঘটনাকে জুলাই মাসে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তাদের কয়েকজন কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষটি ঘটে সা কেও প্রদেশের বান নং ইয়াকাউ গ্রামে, যা থাইল্যান্ডের দাবি অনুযায়ী তাদের ভূখ-, কিন্তু কম্বোডিয়া বলছে সেটি তাদের বান্তেই মেনচেই প্রদেশের প্রেই চ্যান গ্রামের অংশ। থাই কর্তৃপক্ষ গত মাসে ওই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে, এর পর থেকেই সীমান্তের দুই পাশের মানুষ বিক্ষোভ করে আসছিলেন। খবর রয়টার্সের। দুই দেশের ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের অনেক জায়গায় এখনো স্পষ্টভাবে সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়নি। ১৯০৭ সালে ফ্রান্স মানচিত্র তৈরি করার পর থেকেই এসব এলাকাকে ঘিরে বিরোধ চলে আসছে। গত জুলাইয়ে সীমান্তে পাঁচ দিনের ভয়াবহ সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
পরে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ২৮ জুলাই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী নেথ ফিয়াকত্রা অভিযোগ করেছেন, থাই বাহিনী সীমান্ত লঙ্ঘন করে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ডবোমা ব্যবহার করেছে সাধারণ কম্বোডীয় মানুষের ওপর। প্রধানমন্ত্রী হুন মেনেত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আসিয়ানকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে থাইল্যান্ডের ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বন্ধে সহযোগিতা চেয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন