২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে আজ আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সুপার ফোর পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলবে দুই দল। ফাইনালের জন্য ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় জয়ের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে দুই দল। গতকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। লঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোর পর্বে দুর্দান্ত সূচনা করেন লিটন দাসরা। ম্যাচটি জেতায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় তাদের। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে যায়। তবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকে তারা। ফাইনালে ওঠার সমীকরণ মেলাতে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের ছন্দ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে পাকিস্তান। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দুই দলের ম্যাচটি বাড়তি উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় হবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ঘরের মাঠে সিরিজ জয়। গত জুলাইয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসে হতাশ হয়েছে পাকিস্তানিরা। সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের রেকর্ড এটি। ব্যাটিং কিংবা বোলিংÑ দুই বিভাগেই দাপট দেখায় বাংলাদেশ। দুই মাস আগের সিরিজ জয়টিই বাংলাদেশের আত্মবিশ^াস বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর সেটি কাজে লাগিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে টাইগারদের।
এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মোট ২৫টি ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তানের ২০টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ৫টি। এর মধ্যে এশিয়া কাপে মাত্র একটি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। এ ছাড়া এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে হারায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তাদের বাকি তিনটি জয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। এবার বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা বাড়াবে নাকি পাকিস্তানের রেকর্ড সমৃদ্ধ হবে, সেটিই দেখার বিষয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের হবে। কেননা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলে অভ্যস্ত পাকিস্তান। যখন পাকিস্তানের ক্রিকেট নিষিদ্ধ ছিল, তখন হোম ভেন্যু হিসেবে আমিরাতের মাঠই ব্যবহার করেছে পাকিস্তানিরা। তাই উইকেট ও কন্ডিশনের সুবিধা পাবে পাকিস্তান। শক্তির দিক থেকেও দলটি এগিয়ে। তাদের বোলিং লাইনআপ বিশ^মানের। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফদের ধারালো বোলিংয়ের সামনে খাবি খেতে হয় বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। তাদের নামি বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভালো পরীক্ষাই দিতে হতে পারে। ব্যাটিংয়েও যেকোনো সময় বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারেন ফখর জামান, সালমান আগারা। তাদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের। তবে বেশ কিছু জায়গায় পাকিস্তানের দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। সেগুলো চিহ্নিত করে যদি বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, তাহলে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় একটি ম্যাচ উপহার দিতে পারে বাংলাদেশ। সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচটি জয়ে রাঙিয়ে দেবেন লিটনরাÑ এই প্রত্যাশায় বাংলাদেশের ক্রিটেপ্রেমীরা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন