ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মূলত আমরা ইউক্রেনে প্রচুর উন্নত সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছি। খবর বিবিসির। এর আগে রোববার রাতে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সরঞ্জামগুলোয় প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অসন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য এগুলো প্রয়োজন। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মুখে ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু তারপর সন্ধ্যায় সবাইকে বোমা মারেন।
ইউক্রেনে কয়টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের খরচ পরিশোধ করবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা রুশ নেতা পুতিনের সমর্থন পায়নি। তাই পুতিনের ওপর ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির কথা বললেও পুতিন তা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সময়ই ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট পাঠানোর কথা জানালেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য উন্নত মানের অস্ত্র দরকার ইউক্রেনের। এ কারণে দেশটিকে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল পাঠাবে আমেরিকা।’ ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের পশ্চিমে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। রোববার রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের সেনারা প্রতিবেশী দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর হামলা চলছে। সম্প্রতি হামলা আরও তীব্র হয়েছে। এখন পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো ফল দেয়নি, জানায় এএফপি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ সেনারা মার্ন নামের গ্রামটি দখল করেছে ও তারা এটির সোভিয়েত নাম ‘কার্ল মার্ক্স’ বলে উল্লেখ করেছেন। গ্রামটি দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক ও দোনেৎস্কের প্রশাসনিক সীমানার পাশে অবস্থিত। উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় ওনসান শহরে ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন উন। এর পাশাপাশি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে কৌশলগত বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই। গত বছর সই হওয়া একটি অংশীদারত্ব চুক্তির অধীন আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথা বলেন তারা। এর মধ্যে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ৩০,০০০ অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বলে একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সেই দাবি নাকচ করেছে। এ মাসের শুরুতে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা ও পশ্চিমা নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হয় যে পিয়ংইয়ং আগামী কয়েক মাসে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ৩০,০০০ সেনা পাঠাবে। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেইন ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স জাপান টাইমস-কে এক ই-মেইলে জানিয়েছে, ‘আমাদের কাছে রাশিয়ার ভূখ-ে উত্তর কোরিয়ার ৩০,০০০ সেনা পাঠানোর কোনো তথ্য নেই।’ তবে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ‘এই ইউনিটগুলোকে ধাপে ধাপে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ জন করে জুলাই-আগস্টে রাশিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো এই মোতায়েনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হলো। এ ছাড়া, ৫০ থেকে ১০০ ইউনিট উত্তর কোরিয়ার সামরিক সরঞ্জামও রাশিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এম২০১০ (চিওনমা-ডি) মেইন ব্যাটল ট্যাংক এবং বিটিআর-৮০ সাঁজোয়া যান।