ইরানের তেল নেটওয়ার্কে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারী ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করা এবং তেহরানের তেল রপ্তানি নেটওয়ার্ককে বাধাগ্রস্ত করা।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় দুটি চীনভিত্তিক অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য টার্মিনাল অপারেটরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত একাধিক ট্যাঙ্কারে ‘লাখ লাখ ব্যারেল’ ইরানি তেল আমদানি করেছে।

আরও কয়েকটি জাহাজ ও অপারেটরকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গ্রিক নাগরিক আন্তোনিওস মার্গারাইটিস ও তার নেটওয়ার্ককেও অভিযুক্ত করেছে, যিনি জাহাজ শিল্পে তার অবস্থান ব্যবহার করে ইরানি পেট্রোলিয়াম পরিবহনে সহায়তা করেছেন। এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন জানায়, ‘এ পদক্ষেপগুলো তেহরানের উন্নত অস্ত্র কর্মসূচি অর্থায়ন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন এবং আমাদের সৈন্য ও মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

যদি ইরানের ওপর আগে থেকেই বিভিন্ন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে, এরপরও প্রধান আমদানিকারকদের মাধ্যমে তেল রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে তেহরান। ইরানি সরকার মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রবাহ ব্যাহত করা, পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নয়ন এবং প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন পদক্ষেপের মধ্যে চীনের শানডং প্রদেশের ডংজিয়াকো বন্দর এলাকায় একটি অপরিশোধিত তেল টার্মিনাল এবং স্টোরেজ অপারেটরকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে ৬৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ইরান থেকে।