গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে ট্রুথ সোশ্যালে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুদ্ধবিরতি শর্ত অনুযায়ী আরও ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। এদিকে ইসরায়েলের হস্তান্তর করা ফিলিস্তিনিদের মরদেহে পাশবিক নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে রাফাহ ক্রসিং খুলে না দেওয়াসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আলোচনার জন্য তুরস্কে গেছে হামাসের প্রতিনিধি দল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও, এটি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে যাচ্ছে হামাস ও ইসরায়েল। গাজায় মানবিক সহায়তাসামগ্রী প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও, এখনো তা বন্ধ রাখায় ক্ষোভ বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। গত মঙ্গলবার এ নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কে গেছেন হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত বারবার ভঙ্গ করছে তেল-আবিব।
তারপরও এটি মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি। এ ছাড়া জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার বলে তুর্কি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন হামাসের প্রতিনিধি দলের প্রধান মুজাহিদ মুহাম্মদ দারবিশ। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় গাজায় আরও বেশি ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি চায় জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেন, ‘এ মুহূর্তে সব বর্ডার খুলে দেওয়া উচিত। আমরা কথা বলার পর শুক্রবার থেকে কেরেম শালোম ও কিছু ফিম ক্রসিং দিয়ে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছি। তবে এর মাধ্যমে আমরা গাজার উত্তর অংশে পৌঁছাতে পারছি না।’ যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় সংস্থাটি ৬ হাজার ৭০০ টনেরও বেশি খাদ্য সরবরাহ করেছে। অনুমতি পেলে উপত্যকাটিতে আরও বেশি মানবিক সামগ্রী পাঠানো যাবে।
অন্যদিকে, তেল আবিবের কাছে রেড ক্রসের মাধ্যমে আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। যাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। যুদ্ধবিরতি শর্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ জিম্মির মরদেহ ফেরত পাঠাল ফিলিস্তিনের গোষ্ঠীটি। তবে এখনো ১৩ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি হামাস। সবকিছুর মধ্যে, প্রত্যাশার চেয়েও গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে আলোচনার জন্য ইসরায়েলে অবস্থান করছেন তিনি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট যে ২০ দফা শর্ত দিয়েছেন, তা শুধু ইসরাইল নয়, বরং সব উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো দ্বারা সমর্থিত।’