ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

সংবিধান সংশোধন

পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা বিরোধী জোটের

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

পাকিস্তানে সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী বিল সিনেটে উত্থাপিত হয়েছে। যা দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিলটি দ্রুত পাস করার জন্য সরকারের তাড়াহুড়ো এবং বিরোধীদলীয় তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও সামরিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে, যা দেশের প্রশাসনিক ভারসাম্য ও সংবিধানিক কাঠামোর ওপর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে। উল্লেখ্য, ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিলটি শনিবার (৮ নভেম্বর) সিনেটে উপস্থাপন করা হয়। আইনমন্ত্রী আজম নাজীর তারার এই বিল উপস্থাপন করেন এবং এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা ভার্চুয়ালি অনুমোদন দেয়। বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান (২৭তম সংশোধন) আইন, ২০২৫ নামে পরিচিত হবে। এই বিলের মূল উদ্দেশ্য হলো বিচার বিভাগ এবং সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো আধুনিকীকরণ এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলোকে কার্যকর করা। একই সঙ্গে বর্তমান যৌথ প্রধান সদস্য কমিটির চেয়ারম্যান, সিজেসিএসসি অবসর নেওয়ার পর ২৭ নভেম্বর থেকে ওই পদ বিলুপ্ত হবে এবং সেনাপ্রধানকে, সিওএএসপ্রধান প্রতিরক্ষা বাহিনী সিডিএফ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে নিয়ে আজারবাইজানের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশটিতে গেছেন তিনি।

সিনেটের চেয়ারম্যান ইউসুফ রাজা গিলানি বিলটিকে উচ্চকক্ষের আইন ও বিচারবিষয়ক কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন, যেন তারা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সংশ্লিষ্ট কমিটির সঙ্গে যৌথ বৈঠক করে আলোচনা করে। বিলটিতে একটি কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত গঠন, উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যার সীমা বৃদ্ধি ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে গিয়ে গতকাল বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সিনেটের ওই অধিবেশন ডাকা হয়। তবে বিলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বৈঠক প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্বিত হয়।

বিলটিতে একটি কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত গঠন, উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যার সীমা বৃদ্ধি ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিনেট অধিবেশন চলাকালেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির উভয় কক্ষের আইন ও বিচারবিষয়ক কমিটি যৌথভাবে একটি গোপন বৈঠক করে বিলটি পর্যালোচনা করে। বৈঠক বর্জন করেন কমিটির জেইউআই-এফ ও পিটিআইয়ের সদস্যরা। এদিকে খুবই বিরলভাবে রোববার বিকেলেও সিনেটের অধিবেশন বসছে। একমাত্র আলোচ্য বিষয় হলো এ সংশোধনী বিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, সরকার বিলটি দ্রুত পাস করাতে ব্যস্ত।