ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

বারভিডার আলটিমেটাম

চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার না করলে গাড়ি বিক্রি বন্ধ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০২:২৪ এএম

আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সদস্যরা আমদানি করা গাড়িগুলো বন্দর কাস্টমসের মাধ্যমে খালাস করবেন না এবং কোনো শুল্ক-কর দেবেন না বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি আবদুল হক। গতকাল রোববার দেশের সব গাড়ির শোরুম অর্ধদিবস বন্ধ রেখে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে মনববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই আলটিমেটাম দেন।

গাড়ির শোরুমে চাঁদাবাজি এবং দফায় দফায় হামলার প্রতিবাদে আজ দেশের সব শোরুম বন্ধ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বারভিডা। বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়, গত কয়েক মাস ধরে বারভিডা সসদ্যদের শোরুমে চাঁদাবাজি ও ককটেল হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসার সার্বিক নিরাপত্তা এবং ক্রেতাদের আস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে বারভিডা এসব কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বারভিডার সদস্যরা তাদের আমদানি করা গাড়িগুলো বন্দর কাস্টমসের মাধ্যমে খালাস করবেন না এবং কোনো শুল্ক-কর দেবেন না। এ ছাড়া বারভিডা বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাতের সংগঠন বারভিডা রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস তাদের গাড়ির শোরুম বন্ধ রাখে। এ সময় রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকার কোকাকোলা মোড় প্রাঙ্গণে বারভিডার কয়েকশ সদস্য মানববন্ধনে অংশ নেন।

সংগঠনের সভাপতি ছাড়াও সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ মোহা. সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ফরিদ আহমেদ এবং বারভিডার কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বারভিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়ির শোরুমে চাঁদাবাজি ও ককটেল হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বারভিডা নেতারা এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানান। নগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যেও কয়েক দিন পরপরই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে এ ধরনের হুমকি ও হামলা চলায় বারভিডা আজ তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।

বারভিডার নেতারা জানান, সন্ত্রাসী হামলার ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, ব্যাবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ক্রেতারাও শোরুমে আসতে নিরাপদ বোধ করছেন না।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বারভিডার জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, জয়েন্ট ট্রেজারার মো. হাফিজ আল-আসাদ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জোবায়ের রহমান, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল কবির (লিংকন) ও কালচারাল সেক্রেটারি মো. গোলাম রাব্বানি (শান্ত) উপস্থিত ছিলেন।