ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ঐকমত্য কমিশন ব্যর্থ হলে দায় একা কমিশনের নয়

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০২:৩০ এএম

ঐকমত্য কমিশনের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, যদি কমিশন ব্যর্থ হয়, তবে এর দায় এক কমিশনের নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। সংবিধানে বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে কোনো মতপার্থক্য না থাকায় ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে গণভোটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত পোষণ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ১৪তম দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে ড. আলী রীয়াজ বলেন, যে দায়-দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে সে দায়িত্ব আপনাদের ওপরও। আমরা কেবল অংশীদার হয়েছি মাত্র। আলোচনায় উচ্চ কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদের বিষয়ে অসমাপ্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নারী আসনের নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় বা উচ্চকক্ষ হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের সংশোধনের জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রয়োজন হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কিছু অনুচ্ছেদ যেমন প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাবিষয়ক ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ এবং ৫৮ঙ অনুচ্ছেদের দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হলে তা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কেবল দুই-তৃতীয়াংশ ভোট হলেই হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো বিষয়ে সংশোধনী আনতে হলে গণভোট হতে হবে। নারী আসনের নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

গতকাল আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।