পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে জানতে পেরে খাবার না খেয়ে ফিরে যান। এসময় কাজিও বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বর জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে মো. অনিক শেখ (২৩) এবং কনে একই উপজেলার দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে মুন্নি আখতার (১৬)। শুক্রবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ ইউএনও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
জানতে চাইলে বিয়ে পড়াতে আসা কাজি মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি জানার পর সপরিবারে না খেয়েই চলে যান।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, ‘বিয়েবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব সপরিবারে এসেছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি এবং কাজি চলে গেলে আমি নিজেও ফিরে এসেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি বিয়েটি আর হয়নি।’


