দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হবে। এশিয়া কাপে দুই দলের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচটির দিকে নজর থাকবে সবার। ফাইনালে ওঠার জন্য দুই দলের জন্যই ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে জিততে পারলে ফাইনালে ওঠার সমীকরণ সহজ হয়ে যাবে। তাই ম্যাচটিতে কেউই কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলবে না। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা কঠিনই হবে। সব দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয়রা। তবে শক্তিশালী ভারত ম্যাচের আগে আত্মবিশ^াসী লিটন কুমার দাসের বাংলাদেশ দল।
সুপার ফোর পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আত্মবিশ^াসের জ¦ালানি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের শেষ ওভারের নাটকীয়তা বাদ দিলে পুরো ম্যাচে একতরফা খেলেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। যেভাবে খাদের কিনারা থেকে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা, সেটিই তাদের বেশি আত্মবিশ^াসী করে তুলছে। গত ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা রিদম পেয়ে গেছেন। তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে আশা বাড়ছে। ব্যাটিং উইকেটে কীভাবে বড় স্কোর গড়তে হবে কিংবা বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হয়, তা ভালো করেই বুঝে গেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, বোলিং বিভাগও নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ভারতের জন্য আতঙ্কের নাম হতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। এ দুই অভিজ্ঞ বোলার ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিতে পারেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন তারা। স্পিন শক্তিতেও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। এখানেও যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বাংলাদেশ। ভারতীয়দের বিপক্ষেও স্পিনাররা জ¦লে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক সাইফ হাসান বলে দিয়েছেন, তাদের পরবর্তী টার্গেট ভারত ম্যাচ। এই ম্যাচের পর সুপার ফোর পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করবে তারা। পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতকে ঘিরেই সব চিন্তা-ভাবনা এখন বাংলাদেশের। এই ম্যাচের দিকেই সব মনোযোগ তাদের। কীভাবে ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া যাবে, সেই পরিকল্পনা ও কৌশল সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে বাংলাদেশেরÑ এমন কথাই বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
নানা দিক বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগে। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ বিবেচনায় রেখেই সেরা বোলিং অ্যাটাক সাজাবে বাংলাদেশ দল। ব্যাটিংয়ের গভীরতাও থাকবে। অন্যদিকে, দুবাইয়ের মাঠে বিপুল দর্শক সমর্থন পাবে বাংলাদেশ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা গাঁটের টাকা খরচ করে দল বেঁধে প্রিয় দেশের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হন।
তাদের সমর্থন বাড়তি উৎসা জোগায় খেলোয়াড়দের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হওয়ায় দুবাইয়ের মাঠে দর্শকের ঢল নামবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও চান প্রবাসীরা যদি মাঠে এসে তাদের সমর্থন দেন, তাহলে তারা উৎসাহিত হবেন। ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় ম্যাচ উপহার দেওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।