ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক বিরোধ ও সংঘাতের মতো ঘটনা। এরইমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গত সোমবার ২৩৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল চট্টগ্রাম-৮ আসনে গণসংযোগের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হন বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন। একই দিন রাতে রাউজানেও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ দুটি ঘটনাকে যদিও বিবদমান দুই সন্ত্রাসী পক্ষের বিরোধ হিসেবেই দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কোন্দল থেকে সংঘাতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক পটভূমি ও নির্বাচনের ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ, হামলা, জ¦ালাও-পোড়াও এমনকি খুনের ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, এবারও এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না। কাক্সিক্ষত নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক যাত্রাকে সুদৃঢ় করতে রাজনৈতিক সংঘাত পরিহারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ ও দলের হাইকমান্ড থেকে বিশেষ নির্দেশনাও প্রয়োজন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা হাফিজ রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক মাঠ। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে এমন সংঘাতের পরিমাণ বাড়বে। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তো থাকবেই পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে ভয় বাড়বে। এ ক্ষেত্রে দলগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান দেশের রাজনীতিতে এনেছিল নতুন আশাবাদ। ফ্যাসিবাদ পতনের সেই আন্দোলন জন্ম দিয়েছিল নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার ঐক্য যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি বেড়েছে সংঘাত-সংঘর্ষের মতো ঘটনাও। ফলে প্রতিহিংসা ও অসহিষ্ণুতার পুরোনো বৃত্তেই বন্দি হয়ে থাকছে দেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। সম্প্রতি এ পালে হাওয়া দিয়েছে ২৩৮ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা। এরপর দেশে নির্বাচনের আমেজ তৈরি হলেও পাশাপাশি বেড়েছে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা। বিভিন্ন আসনে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থীর মনোনয়ন না পাওয়া বিরোধী পক্ষের বিক্ষোভসহ সংঘর্ষ হচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে কুমিল্লার লাসকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউপির ছনগাঁও গ্রামে কুমিল্লা-৯ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল এম আনোয়ারুল আজীমের কন্যা দোলা আজীমের উঠান বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালামের অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দোলা আজীমসহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় দোলা আজীমের ব্যবহৃত গাড়িসহ প্রায় শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
এ ছাড়াও গতকালই ময়মনসিংহ-৩ আসনে মনোনয়নের জেরে বিএনপির দুটি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ ছাড়াও বেশকিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ এবং মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে গৌরীপুর থানার ওসি দিদারুল ইসলাম জানান। এ ছাড়াও গতকালই বিএনপির মনোনীত ও বঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনার মধ্যে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবায় মনোনয়ন নিয়ে তর্ক থেকে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও একই দিনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশকিছু দোকান-পাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও একই দিনে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় মসজিদের ভেতরে সভা করাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার চট্টগ্রামে। এদিন বিকেলে নগরীর হামজারবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩)। এ ছাড়াও একই দিন রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যদিও এ দুটি ঘটনাকে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট না বলে বিবদমান দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘাত হিসেবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ছাড়াও গত সোমবার বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পরদিন মঙ্গলবার মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের অফিসে হামলা চালিয়েছে মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক নেতাকর্মী। দফায় দফায় এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গাংনী উপজেলা শহর কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ী ও পথচারীরসহ প্রায় ২৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, গাংনী বাজারের ওয়ালটন শোরুম, সোবহান হোটেল, গাংনী সুইট হোটেল বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর দুটি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন।
এ ছাড়াও বিএনপির প্রার্থীর ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি আসনে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকরা মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এ ছাড়াও বিভিন্ন আসনে হরতালের ডাক দিতেও দেখা যায়। অনেক স্থানে রাতে হয় মশাল মিছিল।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, গত অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ৫৪৭ জন আহত হয়। এর আগের মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল ৩৮টি। এসব ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ২৯৪ জন আহত হন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচার শুরু করেছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এরই মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। একজন প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং একজন প্রাণ হারিয়েছেন। অনেক জায়গায় বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও ঘটেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি অতীতেও নির্বাচনি সহিংসতায় সাধারণ মানুষ হতাহত ও নানা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। সহিংসতার অবসান হওয়া জরুরি। সহিংসতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মীদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখা ও সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ধারায় থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, ‘জামায়াত আর বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। এটি শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। যদি কেউ এসে ঝামেলা করে, আমরা আমাদের মতবাদ প্রচার করব। সংঘর্ষ হলে শুধু বিএনপিকে দায়ী করা ঠিক নয়। তা ছাড়া পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে কার্যকর করা না গেলে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে কোথাও কোথাও উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সবার উচিত সমতা বজায় রাখা। সংঘাতের বিষয় চিন্তা করে বলা যায়, আমরা যদি সেই লেভেল বজায় রাখতে পারি তাহলে এমন ঘটনার মাত্রা কমে আসবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘সংঘাত সংঘর্ষ শত বছরের রাজনৈতিক কালচার। এটা চাইলে একদিনে পরিবর্তন হওয়া সম্ভব না। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এ পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন ছিল কিন্তু তা হয়নি। রাজনীতিতে কথার লড়াই হবে, কিন্তু হাতের লড়াই নয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি একদিনে বদলানো সম্ভব না ঠিকই, তবে জুলাই পরবর্তী বাস্তবতায় দলগুলোর দায়িত্ব ছিল ভিন্ন বার্তা দেওয়ার। এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে না। তবে তাদের দাবি, সরকারকেই শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এ এইচ এম শাহাদত হোসাইন বলেন, ‘দেশের মাটিতে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনি সহিংসতা রোধে পুলিশ চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন-পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা রোধে কাজ করে যাচ্ছি এবং করব।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সহিংসতার কারণের মাঝে সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলের প্রবণতা সহিংসতার জন্ম দেয়। স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার এবং অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের আকাক্সক্ষা অনেক সময় সহিংসতাকে উসকে দেয়। আইনের প্রয়োগে শৈথিল্য এবং অপরাধীদের বিচার না হওয়া বা দেরিতে হওয়া সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্রের সহজলভ্যতা এবং এর ব্যবহার সহিংসতাকে আরও মারাত্মক করে তোলে। কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণ বা নিষ্ক্রিয়তা সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে সব বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।’
তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনের আগে সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার বিকল্প নেই। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আর পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, স্থানীয় নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে পরিস্থিতি উন্নয়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

