ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

শিশুদের নিরাপত্তায় ইইউর বয়স যাচাই অ্যাপ

ইনফোটেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি নতুন বয়স যাচাই অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) উদ্যোগে চালু এই অ্যাপটি প্রথম ধাপে ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ডেনমার্ক ও গ্রিসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

এই অ্যাপটি তৈরি হয়েছে ইউরোপীয় ডিজিটাল আইডেন্টিটি ওয়ালেটের কারিগরি কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে, যা ২০২৬ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিজ নিজ প্রয়োজন অনুসারে এই অ্যাপকে জাতীয় অ্যাপের সঙ্গে একীভূত করতে পারবে কিংবা পৃথক একটি টুল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবে। প্রোটোটাইপ অ্যাপের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা জাতীয় ই-আইডি বা পাসপোর্টের মতো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে বয়স যাচাইয়ের একটি বেনামি প্রমাণপত্র সংগ্রহ করবে, যা ব্যবহার করে অনলাইন সেবা গ্রহণ করা যাবে। অ্যাপটির পরীক্ষামূলক পর্যায়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহারকারীর মতামত নিয়ে সেটিকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতের হালনাগাদে বয়স প্রমাণের অতিরিক্ত বিকল্প সংযোজনের কথাও বলা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, এই পরিষেবাকে ভবিষ্যতে আরও সদস্য রাষ্ট্রে সম্প্রসারণ করা হবে এবং প্রতিটি দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ডিজিটাল সার্ভিস সমন্বয়কারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই উদ্যোগের পাশাপাশি ইইউ কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন সুরক্ষায় নতুন দিকনির্দেশনাও প্রকাশ করেছে, যাতে ডিএসএর সঙ্গে প্ল্যাটফর্মগুলো আরও কার্যকরভাবে সামঞ্জস্য রাখতে পারে। দিকনির্দেশনায় আসক্তিকর ডিজাইন, সাইবার বুলিং, ক্ষতিকর কনটেন্ট এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা অনাকাক্সিক্ষত যোগাযোগ রোধ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যালগরিদমিক রিকমেন্ডেশন ও আচরণভিত্তিক ডেটা ব্যবহারের ওপর শিশুদের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। ইইউর প্রযুক্তি নীতিনির্ধারক হেনা ভির্কুনেন বলেন, ‘শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলার মতো কোনো চর্চা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর আর কোনো অজুহাত থাকতে পারে না।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপ স্টোরে বয়সভিত্তিক সীমা বাধ্যতামূলক করে আইন করে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করে একটি জাতীয় আইন পাস করে।