প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জাতির অগ্রগতির জন্য কর্মমুখী এবং প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা অপরিহার্য। শিক্ষাব্যবস্থার মূল ফোকাস হবে সাক্ষরতা ও প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ভিত্তিমূলক শিক্ষা মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, সাক্ষরতার বিস্তারে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল সাক্ষরতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আলোচনা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা প্রদান এবং তারুণ্যের উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকে ভর্তি হার বেড়েছে, ঝরে পড়ার হারও কম নয়। দারিদ্র্যকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড (বিএনএফ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে ‘স্কিল ফর প্রজেক্ট’ কর্মসূচির মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে যুক্ত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের চাকরির জন্য অনেক গ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী আবেদন করছেন। এতে বোঝা যায়, শিক্ষা এখনো শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান এই দুই ক্যাটাগরিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা-২০২৫ দেওয়া হয়। ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার প্রদীপ বিশ্বাস এ সম্মাননা পেয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা পেয়েছে আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন’স এডুকেশনাল প্রোগ্রামস (ইউসেফ) বাংলাদেশ।