ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রূপগঞ্জে শুটার রিয়াজ বাহিনীর পাঁচ সহযোগী গ্রেপ্তার

পূর্বাচল (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
গ্রেপ্তার শুটার রিয়াজ বাহিনীর পাঁচ সহযোগী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে শুটার রিয়াজ বাহিনীর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

সেনাবাহিনীর পূর্বাচল ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর ইরতিজা জানান, শওকত আলী রিয়াজ ওরফে শুটার রিয়াজের সহযোগী সাব্বির ও তার দলবল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবস্থান করছিল। অভিযানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মুড়াপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ঘিরে ফেললে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় যৌথ বাহিনী তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রমজান মোল্লা (৩৫), সবুজ (২৬), মেহেদী হাসান (২৫), এনামুল হক (২৫), সুমন হোসেন (২৩)।

অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ১৪টি বারুদ বোমা, ছয় বোতল ফেনসিডিল, নয় পিস ইয়াবা, ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে সাব্বির ও মামুনসহ কয়েকজন সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, জোরপূর্বক দখল, বালু ভরাট ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে শুটার রিয়াজের নেতৃত্বে এলাকায় অস্ত্রের শোডাউন করে আসছিল। এদের সবার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

অভিযান শেষে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, শুটার রিয়াজ বাহিনীর গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল তারা।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসী চক্রকে নির্মূল করতে আমাদের এই অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে।