বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন শুনানি করেন।
এর আগে, জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। ওই মামলাগুলোর মধ্যে একটি হলো মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন। পরে আরও কয়েকটি মামলায়ও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গত ১১ আগস্ট হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানির সময় আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন