ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার নতুন অধ্যাদেশ গেজেট প্রকাশ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:২১ এএম

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। গত শনিবার মধ্যরাতের পর এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হলো। এটি প্রমাণ করে নতুন বাংলাদেশ সক্ষম’।  তিনি এ অধ্যাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন) এর পরিপ্রেক্ষিতেও উল্লেখযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন আইন নাগরিকদের ডেটা ব্যবস্থাপনাকে আইনিভাবে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল করে তুলবে। গোপনীয়তা, সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা এবং অবৈধ ডেটা ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্ল্যাটফর্মের উপাত্ত লঙ্ঘন, অনৈতিক ব্যবহার এবং ডার্ক ওয়েবে ডেটা বিক্রির অনিয়মেরও শেষ হবে।’

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে। প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে। মানুষের ডেটা যাচ্ছেতাইভাবে ডিল করা, ডেটা বিক্রি করার বদমাইশি আজ থেকে আইনিভাবে শেষ হলো।’

বিশেষ সহকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট ও সহযোগী কোম্পানিগুলো এবং কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলো যে দুর্বৃত্তপনা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঘোরতর লঙ্ঘন, যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডেটা বিক্রির যে অনাচার বাংলাদেশে তৈরি করেছে, আজ থেকে তার কবর রচিত হলো।’

নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। ফয়েজ আহমদ মনে করেন, নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে কেউ ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না।

বিশেষ সহকারী জানান, অধ্যাদেশ দুটোর কাজ বন্ধ করতে দেশ বিদেশ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ডেটা গভর্ন্যান্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচ- রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে। অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছি।’