আবৃত্তিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান শাহানা

শিক্ষকতা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি পরম ভালোবাসার কারণে শাহানা হয়ে উঠেছেন অনেকের কাছে আজ এক অনুপ্রেরণার নাম। সেই ছোট্টবেলা থেকেই শাহানা সংস্কৃতি কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চলতে চলতে একসময় ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে শিমুল মুস্তাফার ‘বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি’তে কর্মশালার মাধ্যমে সদস্য হন। আজ অবধি তিনি আবৃত্তি নিয়ে কাজ করছেন। বর্তমানে সাভারে স্বপ্নস্বর আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি। ২০১৮ সাল থেকে সংগঠনটি সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশিষ্ট আববৃত্ত শিল্পীরা এই সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। শাহানা একজন থিয়েটার কর্মীও। ২০০৬ সালে ঢাকার কেন্দ্রিক নাট্যদল ‘বঙ্গরঙ্গ নাট্য সংসদ’এর সঙ্গে যুক্ত হন। বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য হলো উৎপল দত্তের ‘রাতের অতিথি’ অবলম্বনে ‘উন্মোচন’, ইবসেনের মাস্টার বিল্ডার অবলম্বনে ‘গুরু নির্মাতা’ ইত্যাদি। জাগরণী থিয়েটার উপদেষ্টা হিসেবে ২০১৯ সালের দিকে যুক্ত রন। পরবর্তীতে জাগরণী থিয়েটার প্রযোজিত মাহফুজা হিলারী রচিত, দেবাশীষ ঘোষ নির্দেশিত নাটক ‘রাজার চিঠি’তে অনুপমা (বড়)  চরিত্রে ৩৮টিরও বেশি প্রদর্শনীতে তিনি অভিনয় করেন বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। 

শাহানা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কবিতা আবৃত্তি করেছেন। তার আবৃত্তিতে মুগ্ধ হয়েছেন এদেশের কবিতাপ্রেমী দর্শকশ্রোতা। আবার টিভি নাটকে অভিনয় করেও মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। যার মধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হলো এসএ হক অলিকের ‘ভাই বড়ই প্রেমিক পুরুষ’, ‘বাটপার আনলিমিটেড’, তপু খানের ক- নাটক ‘ডার্ক জাস্টিস’, জুয়েল মাহমুদের খ- নাটক ‘কারারুদ্ধ নজরুল’, ধারাবাহিক নাটক ‘দুরন্ত নজরুল’ ইত্যাদি। শিগগিরই তিনি তপু খানের নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলে জানান শাহানা। আগামীদিনের পথচলা প্রসঙ্গে শাহানা বলেন, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি জাগরণী থিয়েটারের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থাকব, আবৃত্তি করব, অভিনয় করব। ইচ্ছা আছে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আবৃত্তিকে আরও প্রসারিত করা। মোট কথা আবৃত্তিটাকে আমি বিশেষত সাভারে আরও বড় একটি পরিসরে নিয়ে যেতে চাই। আমি আজীবন মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করে যেতে চাই।’