শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রেজাউল করিম, রংপুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার নদীগর্ভে

রেজাউল করিম, রংপুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের  ৭০ মিটার নদীগর্ভে

*** ভাঙনের হুমকিতে রংপুর-লালমনিরহাট সড়কসহ ৭ চর
*** আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষেরা
*** নিম্নমানের কাজের কারণে বাঁধটি ধসে যাওয়ার অভিযোগ

রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ বাঁধের ৭০ মিটার ধসে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মৃধা।

উজানের পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভাঙন অব্যাহত থাকায় তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়কসহ ৭টি চর ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষেরা। নদীপাড়ের মানুষেরা বলছেন, তিস্তার পানি কমা আর বাড়ার কারণে তিস্তা সেতু রক্ষাবাঁধ ভেসে গেছে। এই বাঁধটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে সাতটি চরের অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।

জানা গেছে, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু নি¤œমানের কাজ হয় সেতু রক্ষা বাঁধটি ধসে গেছে। চলতি বছরের আগস্টে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানে বাঁধে। এতে করে বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তাদের জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সেতু রক্ষা বাঁধের ধসরোধে কাজ করার কথা জানান। কিন্তু পরে সেই কাজ বাস্তবায়ন করেনি এলজিইডি। চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে উজানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটিতে ভাঙন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাঁধের প্রায় ৭০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উজানের ঢলের কারণে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ এলজিইডিকে জানিয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছে। এর আগে বাঁধ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমি এলজিইডিকে জানালে তারা মেরামতের আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কাজ করেনি। ফলে আজ বাঁধের বড় অংশ ভেঙে গেছে।

যেহেতু ভারত থেকে পানি হু হু করে ঢুকছে, তাই পুরো বাঁধটি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে করে তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক, শংকরদহ, ইচলীসহ কয়েকটি চরের গ্রাম ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। বাঁধ ভেঙেছে কিংবা বাঁধটি আমাদেরও কিনা জানি না। মিটিং শেষ করে আমি খোঁজ নেব।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাঁধের ৭০ মিটার ধসে গেছে। তিস্তাসেতু রক্ষা বাঁধে ভাঙনের বিষয়ে আমি ডিসি স্যার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। এ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!