যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফের ভুয়া ইন্টার্ন ডাক্তার আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটকের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ভুয়া ডাক্তার নীলা মল্লিক (২৫) বাগেরহাট সদর থানার জাহিদ মল্লিকের মেয়ে। বর্তমানে তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুরে বসবাস করেন। এর আগে গত ৭ জুলাই হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে আব্দুর রহমান নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে পুলিশ।
হাসপাতালের চিকিৎসক শফিউল্লাহ সবুজ জানান, নীলা মল্লিক ডাক্তারের এপ্রোন পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঘোরাফেরা করছিলেন। তার আচরণ সন্দেহজনক হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ভুয়া ডাক্তার প্রমাণিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল রানা বলেন, নীলা মল্লিক অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ডাক্তারের এপ্রোন পরে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাকে আটকের পর হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নীলা মল্লিক জানিয়েছেন তিনি মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের দায়িত্ব পালন করেন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, নীলা মল্লিক নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে পুলিশ আটক করেন। মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে আব্দুর রহমান নামে এক ভুয়া ডাক্তার আটক হয়। তিনি ডাক্তার পরিচয়ে এক নারীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে। আব্দুর রহমান যশোর শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে।