সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের একটি রেস্টুরেন্টে সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব ১২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার ভোরে কুমিল্লার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকা থেকে র্যাব-১২, র্যাব-১১ ও সিপিসি-২ কুমিল্লা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার নাইম হোসেন কামারখন্দ উপজেলার মো. রহমত আলীর ছেলে।
মেজর মো. আহসান হাবিব বলেন, মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিল। র্যাব-১২ ও র্যাব-১১-এর একটি যৌথ দল বুধবার ভোরে তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী কিশোরী মাদ্রাসায় গিয়েছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে মাদ্রাসাসংলগ্ন একটি দোকানে কলম কিনতে বের হলে নাইম হোসেন কিশোরীকে জোর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে উপজেলার কামারখন্দের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে নাইম হোসেনের ৫ বন্ধুÑ মো. ইমরান (২১), আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) এবং নাজমুল হক নয়ন (২৩)। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় চিৎকার যেন বাইরে না যায় সে জন্য ভেতরে উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়। অন্যদিকে বাইরে পাহারা দেয় ইমরান, আকাশ, আতিক, নাছিম উদ্দিন ও নাজমুল হক নয়ন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পরও যখন বাড়ি না আসে তখন খোঁজাখুঁজি করি। তখন হঠাৎ করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে আছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। পরে তাকে এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিন আসামি হলোÑ মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩) ও মো. নাজমুল হক নয়ন (২৩)। বর্তমানে তিনজনই কারাগারে আছেন।