রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছিরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

খেজুর গাছ প্রস্তুতে  ব্যস্ত গাছিরা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। দিনে খরতাপ থাকলেও রাতের শেষভাগে হালকা শীত আর ভোরের কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। ফলে গ্রামীণ জনপদে এখন শীতের আগমনী হাওয়া বইছে, আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গাছিরা খেজুর গাছের ডাল ও শাখা-প্রশাখা কেটে পরিষ্কার করছেন। এতে গাছের মাথার অংশে সাদা অংশ তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে শুকিয়ে আবার কেটে ‘নলি’ লাগিয়ে রস সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। এই রস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়, আবার তা জ্বাল দিয়ে গুড়েও রূপান্তর করা হয়। স্থানীয়ভাবে এই গাছ প্রস্তুতের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘কাম দেওয়া’।

বারুহাস ইউনিয়নের রানীদিঘী গ্রামের অভিজ্ঞ গাছি ইয়াছিন জানান, সাধারণত কার্তিক মাসে গাছ প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়। তবে এ বছর শীত একটু আগেই আসায় প্রস্তুতিও আগেভাগে শুরু হয়েছে। একটি গাছ প্রস্তুত করতে প্রায় একদিন সময় লাগে। রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাড়ি ব্যবহার করা হয়, যার ধারণক্ষমতা ৬-১০ লিটার পর্যন্ত। রস ভালো রাখার জন্য হাঁড়ির ভেতরে চুনের প্রলেপ দেওয়া হয়, তবে কাঁচা রসের জন্য ব্যবহৃত হাঁড়িতে চুন দেওয়া হয় না। তিনি আরও বলেন, একটি গাছ থেকে প্রায় ২-৩ মাস রস পাওয়া যায়। গাছভেদে প্রতিদিন ১-১০ কেজি পর্যন্ত রস মেলে। রস সংগ্রহের নিয়মও আছে প্রথম ৩ দিন রস সংগ্রহের পর গাছকে পরবর্তী ৩ দিন বিশ্রাম দিতে হয়। বিকেল ৩টার দিকে হাঁড়ি বেঁধে দিই, আর ভোর ৫টার দিকেই রস নামাতে হয়।

রস সংগ্রহ শেষে তা ছেঁকে বড় খোলায় জাল দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রস ঘন হয়ে লালচে রং ধারণ করে এবং ছড়িয়ে পড়ে এক মনোমুগ্ধকর গন্ধ। তিনি আরও বলেন, আগে ১০০-১২০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতাম, এখন বয়সের কারণে ৫০-৬০টির বেশি পারি না। এক কেজি গুড় তৈরি করতে ১২ থেকে ১৫ কেজি রস লাগে। গাছের মালিকদের প্রতি গাছের বিনিময়ে ২-৩ কেজি গুড় দিতে হয়। খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছি মোতালেব, শরিফুল, আজমল ও জাহিদুল জানান, বর্তমানে গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তারা প্রত্যেকে ২০-৩০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবেন। এর মধ্যে কারো কিছু নিজস্ব গাছ থাকলেও অধিকাংশই অন্যের গাছ ভাড়ায় নিয়ে কাজ করেন। প্রতি গাছের জন্য মালিককে দিতে হয় প্রায় ৭ কেজি লালি গুড় বা এক হাজার টাকা।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, খেজুর গাছের জন্য বাড়তি কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। তাই কৃষি বিভাগ কৃষকদের বাড়ির আশপাশ, পুকুরপাড়, জমির আইল ও রাস্তার ধারে খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে। যদি বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছের বাগান তৈরি করা যায়, তবে কৃষকেরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!