সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নুর উয জামান, নাগেশ্বরী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০২:১৬ এএম

দুধকুমারের ভাঙনে বিলীন বসতভিটা

নুর উয জামান, নাগেশ্বরী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০২:১৬ এএম

দুধকুমারের ভাঙনে বিলীন বসতভিটা

*** মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে জনপদ
*** ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ আবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতে
*** গত এক মাসে বিলীন ২৬ বসতভিটা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কমতে শুরু করেছে দুধকুমার নদীর পানি, এতে বাড়ছে তীব্র স্রোত। নদীর প্রবল স্রোতে একের পর এক ভাঙছে তীর, সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় ফাটল। মুহূর্তের মধ্যে সেগুলো ধসে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে জনপদ। ভেঙে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলের জমি, বাগান ও স্থায়ী স্থাপনা। ঘরবাড়ি হারিয়ে কেউ আশ্রয় নিচ্ছে আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ আবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে অন্যত্র। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটিরচরে গিয়ে দেখা গেছে এ হৃদয়বিদারক চিত্র। গত এক মাসে ওই এলাকার অন্তত ২৬টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে।

দুধকুমার নদ এখন যেন রুদ্র রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছে নিজের গতিপথ, গিলে খাচ্ছে নতুন নতুন জনবসতি। একসময় জনবহুল কুটিরচরের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া নামে দুটি মহল্লা থাকলেও এখন উত্তরপাড়া সম্পূর্ণ বিলীন, আর দক্ষিণ পাড়াও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসে দক্ষিণ পাড়ার রজব আলী, বাদশাহ মিয়া, সামাদ আলী, আমজাদ আলী, আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, সফিকুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক, নুর মোহাম্মদ, মনির হোসেন, ধনদ্দি, হোসেন, মোক্তার আলী, সফিক মিয়া ও মাইদুলসহ ২৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙা জমির প্রান্তে বসে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ডুবে আছেন সামাদ আলী। চোখে পানি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় কাজ করে ধারদেনা করে ঘর বানাইছিলাম। এখন সেই ঘর, সেই জায়গাÑ সব গেছে নদীতে। বউ-বাচ্চা নিয়ে কোথায় যামু?’

ভাঙনের কবলে শুধু বসতবাড়িই নয়, ফসলের জমিও হারাচ্ছেন এলাকাবাসী। সামাদ আলীর ৩ বিঘা, বাদশাহ মিয়ার দেড় বিঘা, শহিদুল ইসলামের ২ বিঘা, ফজল হাজির ৩ বিঘা ও নুরনবী মিয়ার ৩ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কলার বাগান, ডালখেত ও ধানখেতসহ ফসলি জমি এখন অতীত। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, ‘চোখের সামনে নদী গিলে খেয়ে ফেলেছে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ফসল। হুমকিতে আছে মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও মুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো দক্ষিণপাড়া হয়তো নদীতে মিশে যাবে।’

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ বলেন, ‘বামনডাঙ্গার কুটিরচরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে, যাতে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!