ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সিটি কলেজে ছুটির দিনেও বিক্ষোভ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১২:২৪ এএম

বর্তমান অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও বিক্ষোভ করেছে ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল থেকে ২৫ ও ২৬তম ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের ‘স্বঘোষিত’ অধ্যক্ষের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিয়ামুল হক কর্তৃত্ববাদী মনোভাবে কলেজ চালাচ্ছেন। তার ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মে যুক্ত আছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, আহত শিক্ষার্থীদের ঘটনায় তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ফি প্রদানসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। অথচ কলেজ প্রশাসন গেট বন্ধ করে দিয়ে আমাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থি।

এইচএসসি ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইহান হোসেন বলেন, আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে চাই। কিন্তু একজন স্বঘোষিত অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কলেজের পরিবেশ প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। সহপাঠীরা আহত হওয়ার পরও কোনো তদন্ত হয়নি। আমরা তার পদত্যাগ ছাড়া কিছুই মানব না।

২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তার বলেন, কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুধু আমাদের না, এর আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবার প্রশাসন তা আমলে নেয়নি। এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রশাসনের দেওয়া কোনো নোটিশ মানছি না। কারণ তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং গেট বন্ধ করে আমাদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে থাকব। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কলেজের চারপাশে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। 

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আহত হন মেহেদী হাসান তানিম ও অপু নামের দুই শিক্ষার্থী। এর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজের পরিস্থিতি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।